এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় মহাকাশ অভিযান প্রসারিত হলো পৃথিবীর উপর ২২,০০০ মাইল পর্যন্ত।
এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রীয় বিমান বাহিনী গবেষণাগার Youtube এ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল যা খুব বেশি নজর কারেনি। কিন্তু সেটায় তারা খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা প্রকাশ করে বলে- যুক্তরাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনী তাদের মহাকাশিও সচেতনতা সামর্থ্য Geostationary orbit থেকে চাঁদ পর্যন্ত বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে।
ভিডিও টিতে একজন বর্ণনাদাতা বলেন- “এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় মহাকাশ অভিজান প্রসারিত হলো পৃথিবীর উপর ২২,০০০ মাইল পর্যন্ত।” তিনি আরও বলেন-“সেটা ছিলো অতিত, এটা বর্তমান। বিমান বাহিনী গবেষণাগার আমাদের প্রসারণ চাঁদ এর নিকট CISLUNAR SPACE পর্যন্ত নেওয়ায় আমাদের পরিসীমা ১০ গুন বৃদ্ধি করছে এবং কাজের সক্রিয়তা ১০০০ গুন বৃদ্ধি করছে।”
যুক্তরাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনী পূর্বে তাদের কার্যক্রম এর পরিসীমা বারানোর ব্যপারে কথা বলেছে, কিন্তু এখন তা বাস্তবতায় পরিণত হচ্ছে। তারা CISLUNAR SPACE এ একটি শক্তিশালী স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার পরিকল্পনা করেছে যাতে একটি শক্তিশালী দূরবীক্ষণ যন্ত্র থাকবে। ভিডিও টি অনুসারে, স্যাটেলাইটটির নাম হবে Cislunar Highway Patrol System, সংক্ষেপে CHPS । গবেষণাকেন্দ্রটি আগামী ২১’শে মার্চ CHPS স্যাটেলাইট এর জন্য একটি Prototype প্রস্তাব আর্জি করার পরিকল্পনা করছে এবং জুলাই মাসে সেই চুক্তি ঘোষণা করা হবে। CHPS কার্যক্রম টি পরিচালনা করবেন গবেষণাগার পরিচালকের অধিদপ্তর এর মিছেল লোপেজ।
এই প্রচেষ্টায় যোগদান করবে বিভিন্ন সামরিক সংগঠন, এবং তাই এর গতিবিধির উপর নজর রাখা বিভ্রান্তিকর হয়ে উঠবে। মুলত বিমান বাহিনী গবেষণাগার স্যাটেলাইটটির উন্নয়ন প্রকল্প তত্তাবাধন করবে । পরবর্তীতে মহাকাশে সামরিক কার্যক্রম এর দায়িত্তে থাকা যুক্তরাষ্ট্রীয় স্পেস কমান্ড এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রীয় মহাকাশ বাহিনী এই তত্তাবাধন ক্ষমতা গ্রহন করবে। কার্যত, এই স্যাটেলাইটটি যুক্তরাষ্ট্রীয় স্পেস কমান্ড এর Geostationary space থেকে চাঁদ পর্যন্ত কার্যক্রম এর বর্ধিত অংশ।
Secure World Foundation এর কার্যক্রম পরিকল্পনা পরিচালক ব্রাইআন ওয়ীডেন বলেন- “CISLUNAR SPACE এ কি হচ্ছে তা জানা এবং কোনো সম্ভাব্য হুমকি সম্পর্কে অবগত হওয়ায় সক্ষমতা অর্জনে এটাই তাদের জন্য প্রথম পদক্ষেপ।”
ওয়ীডেন বলেন তিনি মনে করেন না CHPS স্যাটেলাইট এর কোনো হুমকি মুকাবেলা করার মতো ব্যবস্থা থাকবে কিন্তু এটি প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি এর ধারনা দিবে।
কেন যুক্তরাষ্ট্রীয় স্পেস কমান্ড তাদের কার্যক্রম এর পরিসর বাড়াতে আগ্রহী?
ভিডিওটিতে এর প্রাথমিক কারন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে – lunar environment এ বৃদ্ধি পাওয়া মহাকাশযান গুলোর পরিচালনা করা, NASA এর বিভিন্ন ব্যবসায়িক অভিজান নিয়ন্ত্রন, এবং মহাকাশ সংস্থার ও অন্যান্য দেশের Artemis program পরিচালনা করা। সেখানে প্রচুর ভীর হতে চলেছে। Center of Strategic & International Studies এর একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন, Fly Me to the Moon, এক দশকে চাঁদের উদ্দেশে পরিকল্পিত বিভিন্ন মিশন সম্পর্কে জানায়।
CHPS স্যাটেলাইট এবং ভবিষ্যৎ মিশন এর সাহায্যে যুক্তরাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনী অনুসন্ধান এবং বাণিজ্যিক উন্নয়ন এর উদ্দেশ্যে Cislunar space এ শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন এবং “নিরাপদ ও সুরক্ষিত” পরিবেশ তৈরি করতে চায়।
ওয়ীডেন মনে করেন এই নতুন কার্যক্রমে আরও কিছু কৌশলগত উপাদান আছে। তিনি বললেন- “Low Earth Orbit এবং Geostationary Orbit এ বিদ্যমান মহাকাশিয় অবস্থার দিকে লক্ষ দেওয়ায় Cislunar Space এ অন্য সরকার দারা প্রেরিত ও পরিত্যক্ত মহাকাশিয় সামগ্রীীগুলোর ব্যাপারে সামরিক নেতারা চিন্তিত।“
তিনি আরও বলেন- এই সামগ্রীগুলো পরবর্তীতে চাঁদ এর চারপাশে দিয়ে ঘুরে এসে Geostationary space এ অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনী এর স্যাটেলাইটকে আঘাত করতে পারে।
”আমি মনে করি এটা খুব দুরের চিন্তা, কিন্তা পদার্থ বিজ্ঞ্যান এর পরিপ্রেক্ষিতে এটি সম্ভাব্য এবং অবশ্যই তা তাদের কার্যক্ষেত্রের সচেতনতায় এই ফাঁক কে কাজে লাগাবে ”, বললেন ওয়ীডেন। “আমি মনে করি তারা অন্য কোনো হুমকির পরিবর্তে আরো অনেক বেশি চিন্তিত এই ব্যাপার নিয়ে কারন Cislunar space এ যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সামরিক সম্পদ নেই। ”
For the News that matter to you- Tap this link Newsretina.com