Ai-nuclear-reactor_1

বিশ্বের প্রথম AI Nuclear Reactor সামনে আনলেন Elon Musk

by Ashikullha Mhamud Tihim

ELON MUSK বিশ্বের প্রথম AI NUCLEAR REACTOR সামনে এনেছেন। ELON MUSK সম্প্রতি AI দ্বারা চালিত প্রথম পারমাণবিক ফিউশন রিয়েক্টোর প্রকাশ করেন। এই প্রযুক্তিকে বিজ্ঞান জগতে নতুন যুগের সূচনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পারমাণবিক ফিউশন বিক্রিয়া চালানোর জন্য প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা যাবে।

AI Nuclear Reactor কিভাবে কাজ করবে:

প্লাজমা নিয়ন্ত্রণ এবং তা থেকে শক্তি উৎপাদন করার কিছু আধুনিক উপায়ের মাধ্যমে পারমাণবিক ফিউশনের সম্ভাব্যতা আরও সহজ করে তুলবে। যা দশকের পর দশক ধরে ভবিষ্যতের পরিচ্ছন্ন শক্তির উত্স হিসাবে কাজে লাগানো যাবে।

হাইড্রোজেন পরমাণুগুলি উচ্চ তাপমাত্রায় ভেঙে যায় যা একটি ঘূর্ণায়মান প্লাজমা তৈরি করে। যা সূর্যের পৃষ্ঠের থেকেও বেশি গরম। এটি থেকে শক্তি আহরণ করতে হলে আমাদের এই প্লাজমা থেকে তাপ ধরে রাখতে সক্ষম হতে হবে। তাই Elon Musk সুইস প্লাজমা সেন্টারের সাথে ফিউশন পরিচালনার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশের জন্য একটি সহযোগিতামূলক গবেষণা প্রচেষ্টায় কাজ করছেন।

একটি প্রতিবেদনে Elon Musk বলেন, বিক্রিয়াটিকে সম্পূর্ণ আয়নিত করার জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য জ্বালানী হাইড্রোজেন। কারণ এতে শুধুমাত্র 1 ইলেক্ট্রন রয়েছে। এ থেকে উৎপন্ন বলটি শুধুমাত্র 1 সেন্টিমিটার পর্যন্ত স্বল্প দূরত্বে কাজ করে। অথবা একটি প্রোটন বা নিউট্রনের ব্যাস পর্যন্ত। কিন্তু নিউক্লিয়াসের মধ্যে বিকর্ষণকারী ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক বল বেশি দূরত্বে কাজ করে।

সাধারণত, হাইড্রোজেন পরমাণুর মহাকর্ষীয় বল বিক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন করার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা পারমাণবিক ফিউশনকে আরও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ঘটানোর জন্য বিশাল চৌম্বকীয় কয়েল স্থাপনের প্রয়োজন হবে। চৌম্বকীয় সীমাবদ্ধতা ছাড়া ফিউশন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে চলতে পারে না। যার ফলে বিস্ফোরণ ঘটার সম্ভাবনা থাকবে না।

AI যেভাবে সহায়তা করবে:

এলন মাস্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করেছেন যা কোন বাহ্যিক সাহায্য ছাড়াই প্লাজমা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। দুটি সংস্থার গবেষকরা TCB-এর অভ্যন্তরে 19টি চৌম্বকীয় কয়েল নিয়ন্ত্রিত করার জন্য একটি AI ব্যবস্থা প্রশিক্ষিত করেছেন।

তার মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, প্লাজমা এবং চুল্লিটি পরিচালনার জটিল সমস্যাগুলির সাথে বিশেষভাবে মানিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটি কিছুটা নিউরাল নেটওয়ার্কের মতো। যার কনফিগারেশন মানব মস্তিষ্কের আর্কিটেকচারের পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। এটি একটি সিমুলেশনে প্রথমে পরিক্ষা করা হয়েছিল।

আবার, Elon Musk বলেন “AI আমাদের এমন জিনিসগুলি করার অনুমতি দেবে যা আমরা করতে পারব না। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, এখানে আমাদের একটি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে যা আমাদেরকে প্রাপ্তির দিকে নিয়ে যাবে, ক্লান্তির দিকে না।”

ফিউশন শক্তি অন্যান্য শক্তি উত্সের তুলনায় জ্বালানী প্রতি ইউনিটে অনেক বেশি শক্তি সরবরাহ করবে। এটির জ্বালানি ডিউটেরিয়াম, যা সমুদ্রে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ডিউটেরিয়ামে প্রায় 6500টি হাইড্রোজেন অ্যাপস এবং লবণাক্ত পানি রয়েছে।

ইলন মাস্কের মতে, ফিউশন শক্তি সৌরজগতের গভীরতম স্থানগুলো অনুসন্ধানের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। সেইসাথে আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ ভ্রমণ, যেমন অ্যান্টিম্যাটার ফিউশন হাইব্রিড ইঞ্জিনের মাধ্যমে অথবা নতুন light speed engine-এর মাধ্যমে।

Related Posts

Leave a Comment

NewsRetina