এ যুগের মানুষের জীবনযাপনে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি দারুণ ভূমিকা রাখছে।software engineer ছাড়াও বিভিন্ন ইঞ্জিনিইয়ারদের বেতন ও চাহিদা বেড়ে চলেছে দিন দিন।প্রতিনিয়ত যোগাযোগ, অফিস, মিটিং, বিনোদনের মতো কর্মযজ্ঞে প্রযুক্তিনির্ভরতা বেড়ে চলেছে। আর এ কারণে ফুলেফেঁপে উঠেছে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো। বিশেষ করে বিশ্বসেরা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর গ্রাহক ও ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সমানতালে বেড়েছে আয়। বর্ধিত গ্রাহকসেবা নিশ্চিতে Google, Netflix, Facebook, amazon, Microsoft এর মতো কোম্পানি নতুন কর্মী নিয়োগ করছে প্রতিনিয়ত।
একজন software engineer কী পরিমাণে অর্থ এবং সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন?
Google-এ একজন সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজারের বেতনের পরিসীমা প্রায় $218k-$326k হিসাবে, কিন্তু যখন সমস্ত কারণ, যেমন-বোনাস যোগদান, যোগদান ইক্যুইটি, বার্ষিক বোনাস, বার্ষিক ইকুইটি বিবেচনা করা হয় তখন প্রকৃত ক্ষতিপূরণ প্রায় $600k-$700k বছরের কাছাকাছি হতে পারে।
আবার Netflix-এর পরিসর প্রায় $90K থেকে $900k কিন্তু Netflix-এর ইন্টার্ন নেই বা এটি এন্ট্রি-লেভেল ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ করে না। সম্ভবত,সম্প্রতি এটি পরিবর্তিত হয়েছে, তবে আমি এখনও এর কোনও ইঙ্গিত খুঁজে পাইনি।
মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট amazon এর বেতনের পরিসীমা প্রায় $151k – $244k। তবে, এইটা শুধু মাত্র সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজারদের বেতনের পরিসীমা। এছাড়াও, amazon এর ছোট থেকে বড় অনেক ধরণের জবের অফার চলে পুরোবছর জুড়ে।
সিলিকন ভ্যালির হার্ট অফ সিটিতে বসে ফেসবুক অফিসে কাজ করার স্বপ্ন কে না দেখে?এই জনপ্রিয় গণমাধ্যম Facebook- এর বেসিক বেতন ও বোনাস এর পরিসীমা প্রায় $78k-$252k।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি বিষয়ক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান Microsoft। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লোকবল নিয়োগ দেয়। এদের বেতনের পরিসীমা প্রায় $112k – $218k ।
কোম্পানি গুলোতে জবের ক্ষেত্রে যে ধরণের যোগ্যতা বা দক্ষতার প্রয়োজন-
অনেকের ধারণা, Tech কোম্পানি গুলোতে যারা চাকরি করেন সবাই কোডার বা প্রোগ্রামার। এই ধারণা ভুল। প্রোগ্রামিংয়ের পাশাপাশি ডিজাইনার, সাপোর্ট, কল সেন্টার, মার্কেটিং, কপিরাইটারসহ বিভিন্ন রকমের কাজ রয়েছে। বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন এখন ফেসবুক, গুগল এর মতো কোম্পানি গুলোতে বিভিন্ন টিমে কাজ করছেন। যারা প্রোগ্রামার নয়। গুগল, ফেসবুক, অ্যাপলের মতো জায়ান্ট কোম্পানিগুলোতে চাকরি করতে হলে সবার প্রথমে যে যোগ্যতা থাকতে হবে তা হলো, দক্ষতা। আপনি যে কাজের জন্য আবেদন করবেন সেই কাজটিতে দক্ষ হতে হবে। স্কিলের পাশাপাশি মানসিক দক্ষতা, টিম বিল্ড, নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে দ্রুত শেখার আগ্রহ ইত্যাদি গুণ থাকতে হবে।
পরীক্ষায় আপনার সিপিজিএ কত সেটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুগলের ১৪ শতাংশ কর্মীর প্রাতিষ্ঠানিক কোনো ডিগ্রি নেই। তবে ভালো রেজাল্ট বা ডিগ্রির যে গুরুত্ব নেই তা নয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্যই চাকরি পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রাখবে। সাধারণত, Tech জায়ান্ট কোম্পানিগুলোতে প্রোগ্রামার বা টেকনিক্যাল স্কিল রয়েছে, এমন কর্মীদের চাকরির সুযোগ বেশি। কোম্পানিগুলোতে চাকরি পেতে হলে কোডিং, গণিত, কম্পিউটিংয়ের মতো বিষয়ে দ্রুত যে কোনো সমস্যা সমাধানের দক্ষতা জরুরি।
সুতরাং, উচ্চ-প্রান্তের কাছাকাছি কোথাও যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে একজন দক্ষ এবং ক্রিয়েটিভ কর্মী হতে হবে। (সূত্র-comprehensive)
For The News That Matters To You, Click- NewsRetina