Antibiotic (এন্টিবায়োটিক) হচ্ছে এমন একটা উপাদান যা ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস থেকে সংগ্রহ করে অন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস কে ধ্বংস করার জন্য বা তার বংশবৃদ্ধি রোধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে মানব দেহের ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
2020 শতাব্দীর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর মধ্যে একটি ছিল এই Antibiotic (অ্যান্টিবায়োটিক)। কিন্তু Bacteria (ব্যাকটেরিয়া) নিজেদের রক্ষার জন্য প্রতিনিয়ত বিকাশ ঘটিয়ে যাচ্ছে। ফলে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমে আসছে।
সেন্ট লুইসের Washington University এর কিছু গবেষকরা দেখিয়েছেন যে Ultrashort laser pulses এর মাধ্যমে মানুষের কোষের ক্ষতি না করে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসকে মেরে ফেলা সম্ভব।
বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সংকটের মুখে ফেলে দিয়েছে “Superbugs” যা মাল্টিড্রাগ প্রতিরোধী। কিছু গবেষণা অনুসারে 2050 সালের মধ্যে এই “সুপারবাগস” প্রতি বছর প্রায় 10 Million মানুষের জীবন নিতে পারে। ব্যাকটেরিয়া এখন সকল ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হচ্ছে এবং আমাদের প্রতিরক্ষার শেষ লাইন ইতিমধ্যেই ব্যর্থ হতে শুরু করেছে।
Ultrashort laser pulses কি সমাধান দিতে পারবে?
নতুন অ্যান্টিবায়োটিকগুলোকে সর্বদা বিকাশের মধ্যে রাখা হয়েছে কিন্তু এটি শুধু প্রাথমিক সমস্যার সমাধান মাত্র। বিজ্ঞানীরা ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য অন্যান্য পদ্ধতির খোঁজ করছেন যেন ব্যাকটেরিয়া নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষমতা না পায়।
এখন আমরা সেই তালিকায় লেজার যোগ করতে পারি। ওয়াশিংটনের গবেষকরা আগে আবিষ্কার করছিলেন কিভাবে লেজার আলোর Ultrashort pulse ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে পারে। নতুন গবেষণার মাধ্যমে তারা খোঁজ করেছেন কতটা ভালোভাবে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা যায়, সেইসাথে ব্যাকটেরিয়া স্পোরকে হত্যা করা যায়।
মাল্টিড্রাগ-প্রতিরোধী সুপারবাগ “Staphylococcus aureus (MRSA)” এবং “ESBL-উৎপাদনকারী E. coli” প্রতিটি ব্যাকটেরিয়ার gram positive এবং gram negative বিভাগের যেকোনো একটিকে প্রতিনিধিত্ব করে। বিজ্ঞানীরা এই দুটি প্রজাতির উপর কাজ করছেন। খাবার সেদ্ধ বা রান্না করার পরও যে রোগজীবাণু বেঁচে থাকতে পারে সেই Bacillus cereus spores-কেও তারা লক্ষ্যবস্ত করেছেন।
বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে Leaser Pulses প্রতিটি জীবাণুর 99.9 ভাগেরও বেশি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। বিজ্ঞানী দলটি জানান যে কৌশলটি কাজ করে কারণ লেজারগুলি ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার ভিতরে প্রোটিন কাঠামোকে উত্তেজিত করে। ফলে তাদের কিছু আণবিক বন্ধন ভেঙে যায়। যেহেতু ভাঙা প্রান্তগুলি প্রায় এলোমেলোভাবে সংযোগ করে তাই প্রোটিনের কার্যকারিতা জীবাণুর ভিতরে বন্ধ হয়ে যায় এবং তাদের হত্যা করে। এই কারণে মানুষের কোষেও কোন ক্ষতি হয় না।